SOUTH KOREA TOURIST VISA APPLICATION FOR BANGLADESHI


দক্ষিণ কোরিয়ার টুরিস্ট ভিসার  জন্য কীভাবে আবেদন করবেন ও কিভাবে তা  নিম্নে দেওয়া হলো ।

১ সঠিক ভাবে নির্ভুল পূরণকৃত আবেদন ফর্ম 
  • ভিসা আবেদন ফর্ম এখানে ক্লিক করুন VISA FORM PDF FILE
  • কম্পিউটারাইজড বা টাইপ করতে হবে, হাতে লেখা অগ্রহনযোগ্য।
  • The font should be Arial size 12. (New rule. Effective starting November 11, 2019.)
  • অবশ্যই একটি এ ৪ আকারের কাগজে  মুদ্রিত হতে হবে।
  • ফর্মে আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় এমন জায়গা গুলো খালি রাখুন।
২ পাসপোর্ট ফটো 
  • পাসপোর্ট সাইজের রঙিন এবং সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড 
  • অবস্যই আবেদন ফর্মের ১ পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট স্থানে আঠা অথবা গুলু দিয়ে লাগাতে হবে।
৩ বর্তমান পাসপোর্ট (অরিজিনাল)
  • অবস্যই ৬ মাসের উপরে মেয়াদ থাকতে হবে যেদিন থেকে আপনি ট্রাভেল করবেন 
  • অবস্যই আপনার স্বাক্ষর থাকতে হবে যদি ১০ বছরের মেয়াদের নতুন পাসপোর্ট হয় ভালো করে দেখে নিন। 
  • পুরাতন MRP পাসপোর্টে আপনার স্বাক্ষর আছে সুতরাং এটা নিয়ে ভাবতে হবেনা শুধু মাত্র নতুন E -Passport হলে ভালো করে দেখে নিবেন
  • অবস্যই আপনার জরুরি কন্টাক্ট নম্বর পাসপোর্টে থাকতে হবে বায়ো পেজার সাথে আর একটা পেজ আছে যেখানে আপনার ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট নম্বর দেওয়া আছে।
৪ পূর্বের পাসপোর্টে (অরিজিনাল)
  • শুধু মাত্র যদি গেলো ৫ বছরে আপনি কোথাও ট্রাভেল করে থাকেন তাহলে এ পাসপোর্টটি সংযুক্ত করবেন
৫ পাসপোর্টের যে পৃষ্ঠায় আপনার ছবি এবং বিস্তারিত আছে সেটি ফটোকপি সংযুক্ত করবেন (PASSPORT BIO PAGE )
  • পাসপোর্টের ২ নম্বর পেজটা আপনার ইনফরমেশন পেজ মনে রাখবেন এটার ফটোকপি করা আছে আবেদনের সাথে।
৬ যদি পূর্বে আপনার OECD দেশে ভ্রমণ করা থাকে তাহলে তার ফটোকপি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করবে। যদি আপনার থেকে থাকে না থাকলে স্কিপ করতে পারেন। আপনার যদি বেবহৃত (USED) যেকোনো OECD দেশের ভিসা থেকে থাকে তাহলে তার অরিজিনাল এবং ফটোকপি দিতে হবে আবেদনের সাথে।  OECD Organisation for Economic Co-operation and Development মনে রাখবেন পূর্বের বেবহৃত কোরিয়ান ভিসা গ্রহণ যোগ্য হবেনা। OECD ভুক্ত যেকোনো দেশে যাওয়া থাকলে আপনার ভিসা পাওয়াটা ৯০ ভাগ সহজ হবে বলে আশা করা যায়। OECD দেশের একটা লিস্ট দিলাম এখানে ক্লিক করে দেখতে পারেন OECD. ভুলেও কোনো ভুয়া কাগজপত্র অথবা স্টিকার ভিসা দিবেন না. 

৭ যদি কোনো কোরিয়ান আপনাকে ইনভাইট করে থাকে 
  • ইনভিটেশন লেটার এর কপি 
  • যে বেক্তি ইনভাইট করেছে তার পাসপোর্ট কপি অথবা কোরিয়ান সিটি হল থেকে পাওয়া সব ইনফরমেশন আপনার কাছে শেয়ার করতে বলবেন। ইনভিটেশন বেপারটা আমি খুব একটা বুঝি না পারলে এম্বেসিসিতে মেইল করে জেনে নিবেন। আমি সাধারণ ভাবে জমা দিচ্ছি। সুতরাং আপনার যদি ইনভিটেশন না থেকে থাকে জাস্ট ইগনোর করুন। 
অতিরিক্ত যে বিষয়গুলো দরকার পর্বে  ADDITIONAL REQUIREMENTS
তদতিরিক্ত, আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি কোরিয়া যাবেন বেড়াতে এবং আপনার যথেষ্ট পরিমানে ক্যাপাবিলিটি ও সমর্থ আছে বেড়ানোর জন্য অর্থাৎ আপনি যা করেন কাজ অথবা বেবসা সেই অনুযায়ী সকল কাগজপত্র দিবেন। যে যে ক্ষেত্রে যেভাবে কাগজপত্র জমা দিবেন তা আমি নিম্নে উল্লেখ করলাম আপনার পেশা অনুযায়ী। 

যারা চাকরি করেন 
  • কর্মসংস্থান থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে ( Certificate of Employment ) আসল হতে হবে; এবং অবশ্যই নিয়োগকর্তার ঠিকানা, ল্যান্ডলাইন নম্বর এবং নিয়োগকর্তার এইচআর (HR department) বিভাগের ইমেল ঠিকানা, আবেদনকারীর অবস্থান, নিয়োগের তারিখ থাকতে হবে। মনে রাখবেন মোবাইল নম্বর গ্রহণ যোগ্য নয়।
  • আপনার ব্যক্তিগত ব্যাংক সার্টিফিকেট অথবা ব্যাঙ্ক সলভেন্সি। অ্যাকাউন্টের ধরণ, বর্তমান ব্যালেন্স, অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্টের আসল বা সত্যায়িত অরিজিনাল  কপি ৬ মাসের 
  • ITR (Income Tax Return, Form আপনার ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের কপি সংযুক্ত করতে হবে
  • জাতীয় পরিচয় পত্র দেওয়া লাগে কিনা আমি জানিনা তবে ফটো কপি করে নিবেন লাগলে সাথে সাথে বের করে দিবেন 
  • হোটেল বুকিং, টিকেট রেজারভেশন অবস্যই থাকতে হবে সাথে ডেইলি itinerary. কনফারমেড টিকেট কিনবেননা ভিসা হবার আগে পর্যন্ত। 
যারা বেবসা করেন SELF-EMPLOYED
  • সরকার থেকে প্রাপ্ত বেবসা লাইসেন্স অথবা ট্রেড লাইসেন্স এর কপি যদি শেয়ার হোল্ডার থেকে থাকে তাদের নাম।
  • বিশেষ কোনো  Business permit থাকলে তার কপি 
  • ITR (Income Tax Return, Form আপনার ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের কপি সংযুক্ত করতে হবে
  • আপনার ব্যক্তিগত ব্যাংক সার্টিফিকেট অথবা ব্যাঙ্ক সলভেন্সি। অ্যাকাউন্টের ধরণ, বর্তমান ব্যালেন্স, অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্টের আসল বা সত্যায়িত অরিজিনাল  কপি ৬ মাসের 
  • ক্রেডিট কার্ড থাকলে তার স্টেটমেন্ট 
  • প্রপার্টি থাকলে তার কাগজ পত্র সংযুক্ত করবেন 
  • জাতীয় পরিচয় পত্র দেওয়া লাগে কিনা আমি জানিনা তবে ফটো কপি করে নিবেন লাগলে সাথে সাথে বের করে দিবেন 
  • হোটেল বুকিং, টিকেট রেজারভেশন অবস্যই থাকতে হবে সাথে ডেইলি itinerary. কনফারমেড টিকেট কিনবেননা ভিসা হবার আগে পর্যন্ত। 
স্ত্রী অথবা স্বামী যদি আবেদন করতে চান
  • আপনার অথবা আপনার spouse এর অরিজিনাল ব্যাঙ্ক সার্টিফিকেট। অবস্যই উল্লেখ থাকতে হবে একাউন্টের ধরণ অর্থাৎ সেভিংস না হয় কারেন্ট একাউন্ট। একাউন্ট ওপেনিং তারিখ।
  • আপনার অথবা আপনার spouse এর অরিজিনাল ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট কমপক্ষে ৬ মাসের দিতে হবে
  • আপনার spouse যদি চাকরিজিবী হয়ে থাকে তাহলে তার কর্মসংস্থান থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে ( Certificate of Employment ) অরিজিনাল এবং অবশ্যই নিয়োগকর্তার ঠিকানা, ল্যান্ডলাইন নম্বর এবং নিয়োগকর্তার এইচআর (HR department) বিভাগের ইমেল ঠিকানা, আবেদনকারীর অবস্থান, নিয়োগের তারিখ থাকতে হবে। মনে রাখবেন মোবাইল নম্বর গ্রহণ যোগ্য নয়। 
  • হোটেল বুকিং, টিকেট রেজারভেশন অবস্যই থাকতে হবে সাথে ডেইলি itinerary. কনফারমেড টিকেট কিনবেননা ভিসা হবার আগে পর্যন্ত। 
  • সমস্ত ডকুমেন্ট উপরে উল্লেখিত লাগবে এ ক্ষেত্রে আপনার স্বামী অথবা স্ত্রী শুধু মাত্র আপনাকে সাপোর্ট করবে অর্থনৈতিক ভাবে যেহেতু আপনারা স্বামী এবং স্ত্রী সুতরাং ডকুমেন্টস একই শুধু মাত্র ডাবল এপ্লিকেশন এবং ডাবল ডোমেনটেশন এই আর কি। না বুঝলে আমাকে ইমেইল করতে পারবেন অথবা কমেন্টস করে জানাবেন। ম্যারেজ সার্টিফিকেট যেন সংযুক্ত করতে ভুলবেন না যদি সপরিবারে যেতে চান
ইষ্টুডেন্টদের  জন্য যা যা লাগবে 
  • এ বিষয়টা  আপাদত স্কিপ করলাম যদি স্টুডেন্ট কোরিয়া ভ্রমণ করতে চায় এবং ইনফরমেশন দরকার পরে তাহলে পরবর্তী আপডেট করে এ বিষয়টা ক্লিয়ার করে দিবো।
এবার আসি কিভাবে আপনি কোরিয়ান ভিসা আবেদন করবেন।  
  1. আপনি এম্বেসিসিতে ভালো ভাবে রেকোয়ার্মেন্টস জেনে নিবেন কেননা অনেক সময় অনেক কিছু পরিবর্তন হয় কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই।
  2.  যে যে রেকোয়ার্মেন্টস গুলো কোরিয়ান ভিসার জন্য দরকার তা আপনি পূরণ করেছেন সে বিষয় নিশ্চিত হন। অর্থাৎ ফর্ম পূরণ করেসেন নির্ভুল ভাবে, ছবি লাগিইয়েছেন গাম অথবা আঠা দিয়ে, ফটো কপি , OECD ভিসা কপি যদি থেকে থাকে সেগুলো ভালো করে চেক করে নিন একটা ভুলের জন্য আপনার আবেদনপত্রটি বাতিল হয়ে যেতে পারে তাতে ইভেন আপনি যদি ভিসা পাওয়ার যোগ্য হন. আবেদন করার আগে রেকোয়ার্মেন্টস লিস্ট অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিবেন। 
  3. আবেদন পত্রটি সাবমিট করেদিতে আপনাকে এম্বেসী যেতে হবে, আপনি যদি এর আগে কোথাও ভিসার আবেদন করে থাকেন তাহলে ধরে নিবেন প্রায় সব এম্বাস্যি একই রকম তাদের প্রসেস। ভিসা ফিস ৩৪০০ টাকার মতো, আপনি একা যাবেন পরিপূর্ণ ভাবে যাবেন। আপনার হয়তো ইন্টারভিউ নিতে পারে তবে আমার ক্ষেত্রে তেমন কিছু জানতে চায়নি শুধু ডকুমেন্টেস রেখে রিসিট দিয়ে ছিল। 
  4. জমা করার পরে অপেক্ষা করুন রেজাল্টের ৭ থেকে ৮ দিনের ভিতর রেজাল্ট অনলাইন এ দেখা যায়
  5.  ভিসা রেসিভড করার দিন আপনাকে যেয়ে পাসপোর্ট ক্লেম করতে হবে। 

ফ্যামিলি এপিক্যান্টস দের জন্মনিবন্ধন, ম্যারেজ সার্টিফিকেট দিতে হবে 


KOREAN VISA APPLICATION FREQUENTLY ASKED QUESTIONS
এখানে কিছু প্রশ্নের উত্তর আগে থেকেই দিয়ে দিলাম পড়ে নিবেন।  

কতদিন আগে আপনি কোরিয়ান ভিসার জিন্ন আবেদন করতে পারবেন 
৯০ দিন অথবা ৩ মাস পূর্বে আপনি আপনার আবেদনটি করতে পারবেন সুতরাং যদি আপনার ভিসা এপ্রোভ হয় জানুয়ারী মাসের ১ তারিখ তাহলে মার্চ মাসের ৩০ তারিখের পূর্বে আপনাকে কোরিয়া যেতে হবে।  কোনো ভাবেই হাতে অল্প সময় নিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করবেন না। কমপক্ষে ১৫ দিন পূর্বে আপনি আপনার আবেদন সাবমিট করবেন দূতাবাসে। মনে রাখবেন কোরিয়া দূতাবাস আর্জেন্ট ভিসা আবেদন গ্রহণ করেনা। 

আপনাকে কতদিনের জন্য ভিসা গ্রান্ট করতে পারে?
সাধারণত   ৭ অথবা ১৫ দিনের জন্য বাংলাদেশিদের রেগুলার টুরিস্ট ভিসা প্রদান করে থাকে। 
আপনি চাইলে বেশি দিনের জন্য আবেদন করতে পারেন ( upto ৯০ days ) তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রমান করতে হবে এবং কারন দর্শাতে হবে। ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে বিসনেস ডিল করবেন তা যেন বলবেন না প্লিজ। 

আপনার কি হোটেল বুকিং এবং টিকেট রেজারভেশন দরকার আছে কিনা 
হা। অবস্যই দরকার আছে তবে শুধু মাত্র বুকিং এবং রেজারভেশন কোনো রকম কনফার্মড টিকেট ক্রয় করবেন না যতদিন পর্যন্ত আপনার ভিসা এপ্রোভ হয়। 

ট্রাভেল ইন্সুরেন্স দরকার আছে কিনা 
হা।  দূতাবাসে ইমেইল করে জেনে নিবেন তবে ট্রাভেল ইন্সুরেন্স থাকা অনেক ভালো। আমি আন্তর্জাতিক ট্রাভেল ইন্সুরেন্স ১ বছরের কিনে রাখি সবসময়। 

কোনো ট্রাভেল এজেন্সির সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা।
মুশকিল বলাটা। আমি কোনোদিন ট্রাভেল এজেন্ট এর নিকট আজোবধি যায়নি। টিকেট রেজারভেশন, ট্রাভেল ইন্সুরেন্স ও হোটেল বুকিং নিজে থেকেই করা যায় তারপরেও যদি না পারেন তবে যেতে পারেন কোনো ট্রাভেল এজেন্সিতে। 

আমি কোনো ট্রাভেল এজেন্সী রিকমেন্ড করি না। 
না। আমার জানা মতে কোনো ট্রাভেল এজেন্সী নাই। আপনার যদি দরকার পরে হোটেল বুকিং অথবা ইন্স্যুরেন্স ক্রয় করতে আমাকে ইমেইল করলে আমি লিংক দিতে পারবো তবে আপনাকেই বিবেচনা করে সব  করতে হবে। 

আবেদন পত্রটি হাতে লিখলে হবে কিনা। 
আগেই বলেছি PDF filler দিয়ে কম্পোজ করাটা ভালো হবে। যখন আমি আবেদন করেছিলাম তখন কম্পোজ করে জমা দিয়েছি।
আবেদন ফর্মের যদি কোনো বিষয় বস্তু আপনার জন্য প্রযোজ্য না হয় তাহলে কি আপনি N /A লিখবেন অথবা জায়গাটি খালি রেখে ফর্ম পূরণ করবেন ?
নিরাপত্তার জন্য জায়গাটি খালি রেখে দিলে ভালো হবে। যখন আপনার আবেদন পত্রটি জমা দিবেন ভিসা কনস্যুলার সবগুলো চেক করবেন আপনার সামনে থেকেই যদি তিনি বলেন যে এটা খালি কেন ? বলবেন যে বিষয়টা আপনার জন্য প্রযোজ্য নয় তাই ফাঁকা রেখেসি এবং কনস্যুলারের পরমার্শ অনুযায়ী পূরণ করে দিবেন সামনে বসে। 

OECD ভিসা কি? 
এ দেশ গুলো  OECD (অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট) অংশভুক্ত। এদের যেকোনো একটা দেশ ভিসা প্রদান করা মানে OECD VISA  নিম্নে  সদস্য দেশগুলি:

অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রিয়া
বেলজিয়াম
কানাডা
চিলি
চেক রিপাবলিক 
ডেনমার্ক 
এস্তোনিয়া
ফিনল্যাণ্ড
ফ্রান্স
জার্মানি
গ্রীস
হাঙ্গেরি
আইস্ল্যাণ্ড
আয়ারল্যাণ্ড
ইস্রায়েল
ইতালি 
জাপান
কোরিয়া
ল্যাট্ভিয়া 
লাক্সেমবার্গ
মেক্সিকো 
নেদারল্যান্ডস
নিউজিল্যান্ড
নরওয়ে
পোল্যান্ড
পর্তুগাল
শ্লোভাকিয়া
স্লোভানিয়া
স্পেন
সুইডেন
সুইজারল্যান্ড 
তুরস্ক
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাষ্ট্র
আমার OECD ভিসা আছে তার মানে আমার ভিসা এপ্রোভ হবে?
না সম্পূর্ণ সত্য না তবে সম্ভবনা ৯০ শতাংশ যে এপ্রোভ হবে। 

আমার OECD ভিসা আছে তবে সেগুলো E -VISA (পেপার ভিসা ) গ্রহণ যোগ্য কিনা ?
হা। কিছু কিছু OECD ভিসা পেপার  ভিসা (E -VISA ) হয়ে থাকে যেমন অস্ট্রিলিয়া।  প্রিন্ট করে আবেদন পত্রের সাথে দিয়ে দিন।
কত টাকা আমার ব্যাংকে থাকতে হবে যাতে করে আমার আবেদন পত্রটি বিবেচনায় নেয় এবং আমার ভিসা এপ্রোভ হবে ? 
আমি জানিনা এবং দূতাবাস কখনোই কাওকে এ বিষয় কিছু বলেন না। তবে আমি যখন আবেদন করেছিলাম আমার একাউন্টে তখন প্রায়  ৪ লাখ টাকার মতো ছিল এবং আমি আবেদন করেছিলাম ৭ দিনের জন্য। আমার আবেদনটি এপ্রোভ হয়েছিল। আমার জাপান ভিসা এপ্রোভ হইসিলো মাত্র ১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে থাকাকালীন কিন্তু পরের বছর ৮ লক্ষ টাকা ব্যাংকে তবু রিজেক্ট করেদিয়েছে আমার এপ্লিকেশন। সুতরাং ভেবে চিনতে নির্ভুল এবং অল্প দিনের itinerary দিবেন। হটাৎ করে ব্যাংকে অনেকগুলো টাকা জমা করবেন না আপনার এপ্লিকেশান রিজেক্ট করে দিবে। ধরে নিবে যে টাকাটা আপনি ভিসা পাবার আশায় জমা দিয়েছেন। কাজেই কমপক্ষে ৭ মাস ব্যাংকে একটা পরিমান মতো লেনদেন চালাবেন, কখনো জিরো ব্যালান্স করবেন না। আপনাকে আমার পক্ষ থেকে একটা টিপস আসলে কত টাকা থাকা আবশ্যকীয় ধরুন যেমন ফ্রান্স দূতাবাস তাদের একটা লিস্ট আছে যেমন প্রতিদিন ১২০ ইউরো করে দেখতে হবে আপনি যে কয়দিন থাকবেন এবার আপনি ভাবুন কত দিন কোরিয়াতে থাকবেন এবং কতজন ট্রাভেল করবেন।  ধরুন ৩ জন ৭ দিন থাকবেন তাহলে আপনার একাউন্টে থাকতে হবে ২৫০০ ইউরো যা বালাদেশি টাকা হয়  প্রায় ২ লক্ষ ৩১ হাজার ২১৮ কিন্তু আপনি যদি এ টাকাটাই দেখান আপনার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টে তাহলেও হবে না কারণ আপনি যদি আপনার সমস্ত সেভিংস খরচ করেন শুধু মাত্র ভ্রমণের পিছনে তাহলে হটাৎ করে আশা বিপদে আপনি টাকা পাবেন কোথায় ? তাই সবসময় একটু বেশি টাকা ব্যাংকে থাকা ভালো। আর একটা বিষয় উপরে উল্লেখিত টাকাটা শুধু মাত্র ৩ জনের ৭ দিনের খরচ কোরিয়াতে এর ভিতর ৩ জনের টিকেট ধরা হয় নাই। টিকেটের জন্য আরো ১ লাখের বেশি দরকার পর্বে। 
গ্রূপ এপ্লিকেশন রিসিভ করে কিনা ?
ফ্যামিলি এবং ফ্রেইন্ডস এপ্লিকেশন করতে পারবেন তবে প্ৰত্যেক্টা এপ্লিকেশন বিবেচনা হবে নির্ধারিত বেক্তির এবিলিটি অনুযায়ী অর্থাৎ একজনের অনেক টাকা আছে আর বাকি কারো নাই তাহলে শুধু মাত্র দূতাবাস যাকে মনে করবে জেনুইন টুরিস্ট তাকেই ভিসা প্রদান করবে। 

আমি স্বপরিবারে আবেদন করতে চাই সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকে কি ব্যাংক সার্টিফিকেট / স্টেটমেন্ট  আলাদা করে জমা দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা ?
একজনের দিলেই চলবে তবে একসাথে এপ্লিকেশন সাবমিট করতে হবে একই দিনে। 
দয়া করে নোট করুন যে স্পনসরকারী পরিবারের সদস্য যদি পরিবারের কোনও নিকট( Immediate member ) না হয় অর্থাৎ পিতা-মাতা, ভাইবোন বা শিশু নয়, সে ক্ষেত্রে একটি এফিডেভিট অফ সাপোর্ট এবং রিলেশনশিপের পুরুফ কপির  প্রয়োজন হবে । উদাহরণস্বরূপ, যদি আবেদনকারীরা হয়:
দাদা , দাদি , নানা , নানী , চাচা ,মামা , ভাইর ছেলে মেয়ে , বোনের ছেলে মেয়ে অর্থাৎ পরিবারের কোনও নিকট( Immediate member ) না হয় তাহলে এফিডেভিট কপি দিতে হবে। 

আমার স্পনসর আছে তারপরেও কি বব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে কিনা ?
হা দিতে হবে। ইনফ্যাক্ট আপনার এবং আপনার স্পন্সরের দুজনেরই ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিতে হবে। আপনি চাকরি করলে তার কাগজপত্র পর্যন্ত দিতে হবে। 

আমি একজন ইস্টুডেন্ট তবে পার্ট টাইম কাজের সাথে জড়িত (ফ্রিল্যান্স অথবা যেকোনো কাজ) আবেদন পত্রে কি উল্লেখ করবো ইস্টুডেন্ট অথবা চাকরি ?
একই সময় চাকরি এবং ইস্টুডেন্ট উল্লেখ করলে আপনার আবেদন পত্রটি অনেকটা confused লাগবে অর্থাৎ ভিসা কনস্যুলার গোলোকধাধায় পর্বে। পার্ট টাইমার দেখলে অনেকটা নেগেটিভ বলে বিবেচিত হবে আপনার ভিসা আবেদন পত্রটি। 

আমার কিছু বেক্ষা করার দরকার দূতাবাস কি কভার লেটার গ্রহণ করে? 
হা। ইনফ্যাক্ট কভার লেটার অনেকটা আপনার সম্পর্কে ও ট্রাভেল সম্পর্কে বেক্ষা করার জন্য একটা উত্তাবষিকীও ভূমিকা রাখবে। কভার লেটারের একটা স্যাম্পল  এখানে দিলাম প্রয়োজনে আপনার মতো করে সাজিয়ে নিবেন।  SAMPLE COVER LETTER 

WHAT ARE THE COMMON REASONS WHY KOREAN VISA APPLICATIONS ARE DENIED?

আমি শুধু মাত্র অনুমান করে এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে যাচাইবাছাই করে যে উত্তর পেয়েছি তা নিম্নে তুলে ধরলাম। 
  1. আপনি প্রমাণ করতে পারেননি যে আপনি ফিনান্সিয়াললি আপনার কোরিয়া ভ্রমন  ট্রিপ সাপোর্ট করতে পারবেন। অর্হৎ আপনি  অর্থনৈতিক ভাবে অপ্রস্তুত। পর্যাপ্ত পরিমানে টাকা আপনার কাছে নেই। 
  2. আপনি প্রমান করতে পারেননি যে আপনি কোরিয়া থেকে ফিরে আসবেন ( (rootedness)) এ ক্ষেত্রে হয়তো আপনার Unstable  জব অথবা হয়তো নতুন নিয়োগ পেয়েছেন অথবা হয়তো কিছুদিন পূর্বে পদত্যাগ করেছেন এবং এ গুলোর ক্ষেত্রে অথোরিটি ধরে নেবে যে আপনি কোরিয়াতে গিয়ে কাজ করবেন আর ফিরে আশবেননা।
  3. কোরিয়াতে আপনার ভ্রমণ উদ্দেশ্য অস্পষ্ট।  Your intention/purpose in Korea is unclear. এবং এ ক্ষেত্রে সবসময় বুঝে শুনে স্পষ্ট ভাবে আবেদনটি করবেন।আপনি ইন্টারভিউতে বলছেন ঘুরতে যাবেন কিন্তু এপ্লিকেশনে দিচ্ছেন ফ্যাক্টরি ভিসিট করবেন হবে কিভাবে বলুন? আপনার ইনটেনশন ক্লিয়ার থাকতে হবে। 

WHERE CAN I CHECK THE STATUS OF MY VISA APPLICATION?

কোথায় আপনার আবেদনপত্রটি চেক করবেন রেজাল্ট জানার জন্য?

You can check the status of your application by visiting www.visa.go.kr Then follow these steps.

On the top menu, click on ENGLISH.

Click on or hover over the Check Application Status on the left menu. It will reveal options.
Click Check Application Status & Print.
Accomplish the form on the next page. On the Type of Applications field, select Diplomatic Office.
Enter your details and click Search.

যদি আপনার এপ্লিকেশনটি রিজেক্ট হয় আপনি আবারো এপলাই করতে পারবেন কিনা 
হা পারবেন, তবে ৬ মাস পরে 

সাউথ কোরিয়া ভিসা দেখতে কেমন দেখায় ?

Embassy of the Republic of Korea, 4 Madani Avenue Baridhara, Dhaka-1212 Bangladesh
Phone : +880-2-5881-2088~90, 5881-2041, 984-3237, 984-3628
FAX : +880-2-984-3871
E-Mail : embdhaka@mofa.go.kr / consuldhaka@mofa.go.kr (cosular/visa service)


Comments

Popular posts from this blog

Cambodia Visa Application Guidelines For Bangladeshi

JAPAN TOURIST VISA APPLICATION GUIDE