JAPAN TOURIST VISA APPLICATION GUIDE


জাপান যদিও খুব একটা দূরের দেশ নয় বাংলাদেশ থেকে, অন্তত কি এমন জিনিস আছে জাপানীস যা আমাদের দেশে পাওয়া যায়না? তবুও অনেক দূর মনে হয় কারণ দেশটার ভিসা পলিসির কারণে।
বাংলাদেশিদের ভিসা পেতে বিভিন্ন দেশেই অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় তবে জাপানের ক্ষেত্রে এটা এতটাই কঠিন যে অনেকে হাল ছেড়ে দিয়েছে জাপান যাবার জন্য। যেহুতো খুব কমসংখক বাংলাদেশী জাপান যেতে আগ্রহী অথবা যায়না তাই জাপান বাংলাদেশিদের টুরিস্ট বলে বিবেচনা করে না। বরং তারা ধরে নেয় বাংলাদেশিরা গেলে আর হয়তো ফিরে আসবেনা জাপান থেকে। কিছু কিছু  লোক আমাদের দেশ থেকে করেও তাই, একবার গেলে ফিরে আসতে চায়না। কিন্তু এ অবস্থার একটা পরিবর্তন হওয়ার দরকার। বাংলাদেশী ডিপ্লোমেটিক (লাল) পাসপোর্ট জাপানে ভিসা ফ্রি এন্ট্রি । জাপান ভিসা পাওয়াটা খুব একটা জটিল কিছু না অন্তত আমার ক্ষেত্রে এর প্রমান মিলেছে। আমি বড়ো  কোনো বিজনেস ম্যান না অথবা অনেক টাকাও নেই। কিন্তু তবুও সাদ্ধ  হয়েছে অপরূপ সুন্দর এ দেশটা দেখার। 

IMPORTANT! গাইডটি শুধু মাত্র তাদের জন্য যারা কোনো স্পনসর ছাড়াই জাপান যেতে চান শুধু ভ্রমণের জন্য। অর্থাৎ আপনার কোনো গ্রান্টর নাই এবং আপনি হোটেলে থাকবেন , জাপানে আপনার পরিচিত কেউ নেই।

REQUIREMENTS
For Sight-seeing
 1. Application form
 2. Valid Passport
 3. Old Passport (if any)
 4. Two Photos (see photo requirement)
 5. Airline Booking Slip (two ways)
 6. Hotel Booking document during stay in Japan
 7. Invitation letter (if you have a guarantor)
 8. Document certifying or explaining relations to the guarantor (if you have a guarantor)
 9. Document certifying financial capabilities
 (a) If the travel expenses are borne by applicants
  (i) Tax-Income certificate (if any)
  (ii) Bank Statement
 (b) If the travel expenses are borne by a guarantor living in Japan
  (i) Guarantee letter
  (ii) Tax certificate, Bank statement or Income certificate (any one)
  (iii) Citizen registration or certificate of foreigner registration and passport copy



১ সঠিক ভাবে নির্ভুল পূরণকৃত আবেদন ফর্ম (APPLICATION FORM)
  • ভিসা আবেদন ফর্ম এখানে ক্লিক করুন VISA FORM PDF FILE
  • কম্পিউটারাইজড বা টাইপ করতে হবে, হাতে লেখাও  গ্রহনযোগ্য।
  • অবশ্যই একটি A4 আকারের কাগজে  মুদ্রিত হতে হবে।
  • ফর্মে আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় জায়গা গুলো খালি রাখা যাবে না অর্থাৎ N/A লিখুন
  • কারেকশন পেন ও লিকুইড বেবহার করবেন না 
  • শুধু মাত্র কালো কলম দিয়ে লিখতে হবে, তবে যদি কোথাও ভুল হয়ে যায় নতুন করে পুনরায় শুরু করবেন আরেকটা আবেদন পত্র। ভুল এপ্লিকেশন রিজেক্ট করে দিবে। 
  • স্টেপলের দিয়ে আটকাবেন না বরং জেমস ক্লিপ বেবহার করবেন।  
২ পাসপোর্ট ফটো ২ কপি (PHOTO ID)
  • পাসপোর্ট সাইজের রঙিন এবং সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড ৬ মাসের ভিতর তোলা। 
  • অবস্যই আবেদন ফর্মের ১ পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট স্থানে আঠা অথবা গুলু দিয়ে লাগাতে হবে।
  • পাসপোর্ট ফটোর REQUIREMENTS  এখানে  
  • ছবির পিছনে নাম ও জন্ম তারিখ স্পষ্ট করে লিখে দিতে হবে । 
  • Size: 4.5cm x 4.5 cm (2 inch by 2 inch)
৩ বর্তমান পাসপোর্ট (অরিজিনাল) (CURRENT PASSPORT)
  • অবস্যই ৬ মাসের উপরে মেয়াদ থাকতে হবে যেদিন থেকে আপনি ট্রাভেল করবেন 
  • অবস্যই আপনার স্বাক্ষর থাকতে হবে এবং ২টি পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকতে হবে। 
  • অবস্যই আপনার জরুরি কন্টাক্ট নম্বর পাসপোর্টে থাকতে হবে বায়ো পেজের সাথে আর একটা পেজ আছে যেখানে আপনার ইমার্জেন্সি কন্টাক্ট নম্বর দেওয়া আছে।
৪ পূর্বের পাসপোর্টে (যদি থাকে ) OLD PASSPORT (IF ANY)
  • যদি গেলো ৫ বছরে কোথাও ট্রাভেল থাকে  তাহলে এ পাসপোর্টটি সংযুক্ত করে দিতে হবে ।
৫ এয়ারলাইন্স রাউন্ড ট্রিপ বুকিং
  • রাউন্ড ট্রিপ টিকেট রেজারভেশন। ট্রাভেল এজেন্ট কে বললে তারাই বুকিং করে দেয় অল্প টাকার মাধ্যমে। চাইলে নিজে থেকেও বুকিং যায়, বিভিন্ন এয়ারলাইন্স HOLD BOOKING নামের একটা অপশন থাকে যেখানে কিছু টাকার বিনিময়ে টিকিট তারা রিজার্ভ রাখে । এ ক্ষেত্রে ২ দিন ২৪ ঘন্টা অথবা ৩ দিন অর্থাৎ ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত বুকিংটা কনফার্ম থাকে। একটা PNR নাম্বার তৈরী হয় যা দূতাবাসের লোক অনলাইন এ চেক পারে। জাপান দূতাবাস ভিসা না হওয়া পর্যন্ত ফাইনাল টিকেট ক্রয় করতে বলেনি । টিকেট বুকিং অথবা রিজার্ভ করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। 
৬ হোটেল বুকিং জাপানে থাকাকালীন 
  • হোটেল বুকিং অথবা  রিজারভেশন থাকতে হবে। হোটেল বুকিং নিজে থেকেই করা যায়, অথবা কোনো ট্রাভেল এজেন্ট ধারা করা যেতে পারে। কন্ফার্ম হোটেল বুকিং করতে হবে না জাস্ট রিজারভেশন মাত্র। হোটেল বুকিং অথবা রিজার্ভ করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। 
৭ আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণপত্র (DOCUMENTS CERTIFYING FINANCIAL CAPABILITIES)
  1. ITR (Income Tax Return, Form ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের কপি সংযুক্ত করতে হবে (যদি -থাকে)
  2. ব্যক্তিগত ব্যাংক সার্টিফিকেট অথবা ব্যাঙ্ক সলভেন্সি। অ্যাকাউন্টের ধরণ, বর্তমান ব্যালেন্স, অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ ইত্যাদি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
  3. কর্মসংস্থান থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে ( Certificate of Employment ) আসল হতে হবে এবং অবশ্যই নিয়োগকর্তার ঠিকানা, ল্যান্ডলাইন নম্বর এবং নিয়োগকর্তার এইচ-আর (HR department) বিভাগের ইমেল ঠিকানা, আবেদনকারীর পদবী, বেতন-ভাতা, নিয়োগের তারিখ ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হবে। মোবাইল নম্বর গ্রহণ যোগ্য নয়।
  4. জাপান এই মুহূর্তে ট্রাভেল নিষেধাজ্ঞা চলমান আছে ২০২১

৮ দৈনিক ভ্রমণের প্ল্যান (DAILY ITINERARY)
  • ডে টু ডে  প্ল্যান দিতে হবে 
৯ জাপান ভিসার জন্য আবেদন কিভাবে করা যাবে 
  1. সঠিক ভাবে নির্ভুল আবেদনপত্র পূরণ করা
  2. পূরণকৃত আবেদন ফর্ম ও অন্নান্ন কাগজপত্র সহ দূতাবাসে জমা দেওয়া। 
  3. বাংলাদেশিদের কোনো ভিসা ফিস নেই। 
  4. আবেদনপত্র ও ইন্টারভিউ একই দিন হবে। 
  5. আবেদন পত্রটি জমা নিলে একটা রিসিট দিবে যেখানে সম্ভাব্য পাসপোর্ট ডেলিভারি টাইম ও তারিখ দেওয়া থাকবে। 
  6. RYOJI থেকে ইমেইল আসবে যদি বাড়তি ডকুমেন্ট দরকার হয় অথবা ভিসা রিজেক্টেড  
  7. পাসপোর্ট কলেক্ট দূতাবাস থেকে । 
কিভাবে পূরণ করবেন  জাপান টুরিস্ট  ভিসা ফর্ম
  • প্রথমেই ডাউনলোড করে নিতে হবে ভিসা ফর্ম ও পরে প্রিন্ট করে নিতে হবে  A4 পেপারে 
  • কলম অথবা অনলাইনে PDF FILLER দিয়ে ফরমটি ফিলাপ করতে হবে । 
  • কালো কালী দিয়ে করতে হবে 
  • কারেকশন পেন অথবা কোনো রকম কাটাছেড়া চলবেনা 
  • ফর্মের কোনো অংশ ফাঁকা রাখা যাবে না। 
  • সব শেষে কোনো স্টেপলর বেবহার করা যাবে না। 


  • GIVEN & MIDDLE NAME পাসপোর্টের সাথে মিলিয়ে পুরো নাম, যদি তিনটি নাম থাকে তাহলে তিনটিই লিখতে হবে। 
  •  OTHERS NAME আরো যদি কোনো নাম থেকে থাকে তাহলে তা উল্লেখ উল্লেখ করতে হবে । 
  • PLACE OF BIRTH যে জেলায় জন্মগ্রহণ হয়েছে সেখানকার নাম। 
  • FORMER OR OTHER CITIZENSHIP দৈত নাগরিকত্ত থাকে তাহলে লিখতে হবে, না হয় N/A
  • ID NO. ISSUED TO YOU BY YOUR GOVERNMENT জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স যেটা থাকে দিতে হবে। 
  • PASSPORT TYPE যদি লাল অথবা নীল রঙের পাসপোর্ট না থাকে তাহলে ORDINARY টিক দিয়ে দিবেন। 
  • PASSPORT NUMBER পাসপোর্টের নম্বর । 
  • PLACE OF ISSUE যেখান থেকে পাসপোর্ট করা হয়েছে।  
  • ISSUING AUTHORITY  সংক্ষেপে DIP (Department of Immigration & Passport)
  • PURPOSE OF VISIT TOURISM কিন্তু যদি কারো সাথে দেখা করতে যাওয়া হয় তাহলে  VISIT FAMILY/FRIENDS
  • INTENDED LENGTH OF STAY IN JAPAN যে কদিন জাপান ঘোড়ার প্ল্যান । 
  • PORT OF ENTRY TO JAPAN এয়ারপোর্ট নাম যেমন TOKYO NARITA অথবা TOKYO HANEDA 
  • NAME OF SHIP OR AIRLINES যে এয়ারলাইন্স থেকে টিকেট নিবেন তার নাম যেমন AIR ASIA/ EMIRATES OR QATAR AIRWAYS
  • NAMES AND ADDRESSES OF HOTELS OR PERSONS WITH WHOM  APPLICANT INTENDS TO STAY যদি টুরিস্ট হিসেবে যান তাহলে হোটেলের নাম ও ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি দিবেন। আর যদি কারো ইনভিটেশনে যান তাহলে তার বাসার ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি দিবেন। 
  • DATES AND DURATION OF PREVIOUS STAYS IN JAPAN এটা যদি আপনার প্রথমবারের  মতো ভ্রমণ হয় জাপানে তাহলে N/A লিখবেন। আর পূর্বে যাওয়া থাকলে তা লিখে দিবেন কোথায়, কবে এবং কতদিন। 
  • YOUR CURRENT RESIDENTIAL ADDRESS আপনার বর্তমান ঠিকানা লিখবেন। আপনি যদি ঢাকায় থাকেন নিজ বাড়িতে তাহলে সে বাড়ির ঠিকানাটা লিখেদিবেন। আর যদি গ্রামের বাড়ি অন্য কোথাও হয় এবং আপনি ঢাকাতে থাকেন তাহলে ঢাকার ঠিকানা দিবেন। 
  • TELEPHONE NUMBER আপনার যদি বাসায় টেলিফোন না থেকে থাকে তাহলে N/A লিখবেন।
  • CURRENT PROFESSION OR OCCUPATION AND POSITION সততার সাথে লিখবেন। আপনার যদি ইনকাম ট্যাক্স থাকে এক কোম্পানির আর কাজ করেন আরেক কোম্পানিতে তাহলে একটা এক্সপ্লেইন লেটার যুক্ত করবেন প্রমান স্বরূপ। 
  • NAME AND ADDRESS OF EMPLOYER যেখানে চাকুরী করেন সেখানকার ঠিকানা লিখবেন।
PARTNER'S PROFESSION/OCCUPATION আপনি যদি  অবিবাহিত ও প্রাপ্ত বয়স্ক হন তাহলে N/A লিখুন। আর যদি বিবাহিত হন তাহলে আপনার স্বামী/ইস্ত্রির পেশা কি সেটা লিখবেন। আর যদি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হন তাহলে পিতা  অথবা মাতার পেশা লিখবেন। 
  • GUARANTOR OR REFERENCE IN JAPAN  N/A যদি জাপানে কেউ পরিচিত না থাকে । 
  • আপনি যদি উপরের প্রশ্নগুলোর একটিতেও YES টিক দিন তাহলে ডিটেলস আপনাকে লিখতে হবে আর যদি সবগুলো উত্তর NO হয় তাহলে N/A লিখে দিবেন বক্সের খালি জায়গাটায়। 
  • স্বাক্ষর হাতে কলমে লিখে দিবেন। আপনার স্বাক্ষর আর নাম কিন্তু এক জিনিস নয়। 
জাপান টুরিস্ট ভিসা সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন : ভিসিটিং ফ্রেন্ডস ও ফ্যামিলি প্রসেস ঠিক একই রকম কিনা ?
উত্তর : না। ভিসিটিং ফ্যামিলি ফ্রেন্ডস এর জন্য পুরো আরেকটা সেপারেট এপ্লিকেশন নিয়ম যা এখনো আমি করতে পারিনি তবে খুব শিগ্রই করবো।
প্রশ্ন : ফ্লাইট ও হোটেল বুকিং দরকার আছে কিনা ?
উত্তর : হা অবস্যই দরকার আছে তবে কন্ফার্ম টিকেট ক্রয় করবেন না ভিসা হওয়ার আগে পর্যন্ত। আপনার ফর্মে কিন্তু কোথায় থাকবেন ও কোন এয়ারলাইন বেবহার করবেন তা লিখতে হবে কাজেই হোটেল ও এয়ার টিকেট বুকিং ছাড়া কোথায় পাবেন ঠিকানা ও ফ্লাইট ডিটেলস?
প্রশ্ন : ঠিক কতদিন ভিসার মেয়াদ থাকবে ?
উত্তর : যেদিন থেকে ইসু হবে ৯০ দিন মেয়াদ পাবেন। অর্থাৎ এ ৯০ দিনের ভিতর আপনার জাপান যেতে হবে তবে ঠিক ৯০ দিন থাকতে পারবেন না। আপনার ITINERARY দেখে নির্ধারিত করবে কতদিন থাকতে পারবেন। আমাকে ১৫ দিনের জন্য দিয়েছিলো ভিসা।
প্রশ্ন : ঠিক কতদিন সময় লাগতে পারে জাপান ভিসা প্রসেসে ?
উত্তর : বেশির ভাগ ক্ষেত্রে  ৭ থেকে ১০ দিনে পেয়ে যাবেন ইমেইল পাসপোর্ট কালেকশন করার।
প্রশ্ন : কতদিন হাতে থাকতে ভিসার জন্য আবেদন করবেন ?
উত্তর : জাপান এম্বেসী স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে তারা আর্জেন্ট  ভিসা এপ্লিকেশন গ্রহণ করে না। কম করে ১ মাস আগে জমা দিবেন ভিসার জন্য। আগেই বলেছি ভিসার মেয়াদ ৩ মাস থাকবে কাজেই আগেভাগে আবেদন করবেন।


যে কারণে ভিসা এপ্লিকেশন রিজেক্ট হতে পারে  এখানে 

The embassy of Japan in Dhaka is located at # 5 & 7, Dutabash Road, Diplomatic Enclave in Baridhara and can be contacted by telephone on 02-984-0010 as well as by email eojbd@dc.mofa.go.jp. The consular section, which shares premises with the embassy, can be reached by email consular@dc.mofa.go.jp. 

Comments

Popular posts from this blog

Cambodia Visa Application Guidelines For Bangladeshi

SOUTH KOREA TOURIST VISA APPLICATION FOR BANGLADESHI