FIRST TIME ABROAD: Airport Tips & Frequently Asked Questions (Latest)

অতি জরুরি কিছু টিপস যারা প্রথমবারে বিদেশ ভ্রমণ করবেন 
FIRST TIME ABROAD: Airport Tips & Frequently Asked Questions (Latest)

দেশের বাহিরে ভ্রমনে যাচ্ছেন ? প্রথম বার? আপনি হয়তো খুবই এক্সসাইটেড কিন্তু আমি বাজি ধরে বলতে পারি ভিতরে ভিতরে আপনি অনেকটা নার্ভাস ফীল করছেন। আপনার মাথায় হয়তো অনেক প্রশ্নের ঘুরপাক করছে আর করাটাই স্বাভাবিক। এখানে কিছু ইম্পরট্যান্ট বিষয় আজ আপনাদের বলবো যা অবস্যই আপনার জানা দরকার আপনার ভ্রমন পূর্ব মুহূর্তে। 
প্ৰত্যেক্টা দেশের নিজনিজ ইমিগ্রেশন আইন রয়েছে। কিছু কিছু দেশে আমাদের জন্য ভিসার দরকার পরে কিছুকিছু দেশে না। তবে বাংলাদেশিদের জন্য প্রায় প্ৰত্যেকটা দেশেই ভিসার দরকার পরে। কিছু দেশের আইন অনেকটা শিথিল আবার কিছু দেশের মারাক্তক কঠিন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার এ সমস্ত  বিষয়ে ভ্রমণের আগেই জানা প্রয়জন। 
আমি যে প্রশ্নের উত্তর গুলো আজ দিবো আগেই বলে নেই যে এগুলো আমার বেক্তিগত অভিজ্ঞতা ও কিছুকিছু অন্নান্ন মাদ্ধমে পাওয়া। কিছু কিছু বিষয় হয়তো ইতি মধ্যে বরিবর্তন হয়েছে তবুও  আমি চেষ্টা করেছি অনেকটা আপডেটেড করে যথাসম্ভম নির্ভরযোগ্য উত্তরের। 

বিমানবন্দরে প্রক্রিয়াগুলি কি?
  1. ট্রাভেল ট্যাক্স পেমেন্ট করা: বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা যখন টিকিট কাটি তখন এ ট্যাক্সটি টিকিটের ভিতরে ইনক্লুডেড থাকে। টিকিটের গায়ে লেখা থাকে টার্মিনাল নম্বর যদি নাও থেকে থাকে সরাসরি চলে যাবেন বহিরাগমন DEPARTURE গেটে। 
  2. চেকইন (CHEK-IN): বিমানবন্দরের ভিতরে আপনার টিকিট অনুযায়ী চেকইন কাউন্টারে যেতে হবে অর্থাৎ আপনার ফ্লাইট টি যদি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর হয়ে থাকে তাহলে তাদের কাউন্টার খুঁজে চেকইন এর জন যেতে হবে। আপনার পাসপোর্ট এবং প্রিন্ট করা টিকেট কাউন্টারে থাকা এজেন্টের কাছে দিবেন তিনি আপনাকে একটা বোর্ডিং কার্ড দিবে (BOARDING PASS) .
  3.  Fill out a copy of Immigration Form (aka Departure Card): বহিরাগমন একটা ছোট্ট ফর্ম আছে ঢাকাতে সেটা পূরণ করবেন। এটা অবশ্যই করতে হবে। আপনাকে লিখতে হবে কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন (যে দেশে যাচ্ছেন ) হোটেল অথবা আত্মীয়ের বাড়ীর ঠিকানা ইত্যাদি। 
  4. ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স:  ইমিগ্রেশন পুলিশ আপনাকে প্রশ্ন করবে কতদিনের জন্য যাচ্ছেন বাহিরে? বাড়ি কোথায়? ঠিকানা বলেন ? বাপের নাম বলেন একেক সময় একেক ধরণের প্রশ্ন করে রাগ না করে সুন্দর ভাবে উত্তর দিন। যদি অফিসার আপনার কথায় বা আপনাকে সন্দেহ করে তাহলে হয়তো অন্য বোরো অফিসার জিজ্ঞাসাবাদ করবে। সবথেকে বড়ো কথা হলো আপনাকে বোঝাতে হবে যে আপনি ঘুরতে যাচ্ছেন এবং অবৈধভাবে কাজ করতে না। 
  5. ফাইনাল সিকিউরিটি চেক: আপনার কাছে থাকা ব্যাগ (মানি ব্যাগ ) ফোন ,ঘড়ি সমস্ত মেটাল আইটেম বের করে ছোট্ট একটা বাস্কেট দেখবেন তার ভিতরে রাখুন স্ক্যান করার জন্য। কোমরে থাকা বেল্ট ও কোনোকোনো সময় পায়ের জুতা পর্যন্ত খুলতে হয়। নিঃসন্দেহে একটা লং প্রসেস এবং অনেক লোকের সাথে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ধীরে ধীরে করতে হয় সব।                                                           

কি পরিমান সময় হাতে রেখে আপনি এয়ারপোর্ট যাবেন। 
কমপক্ষে ৩ ঘন্টা পূর্বে এয়ারপোর্ট থাকবেন। হাতে সময় থাকতে গেলে অনেকটা নির্ভাবনায় থাকা যায়।  কে জানে যদি অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটে যথেষ্ট পরিমান সময় হাতে থাকলে সমাধান করা যায়।  কমপক্ষে ৫ বার আমি ফ্লাইট মিস করছি তাই আমি চাইনা আপনারাও আমারমত দশায় পড়েন। 
কি ধরণের জিনিসপত্র  আপনি এয়ারপোর্ট নিয়ে যাবেন। 
ফ্লাইটের আগের রাত্রে পারলে একটা চেকলিস্ট করে রাখবেন এবং তা থেকে সব মিলিয়ে নিবেন এয়ারপোর্টে যাওয়ার আগে। 
এখানে আপনাদের সুবিধার্তে কিছু ইম্পরট্যান্ট আইটেম 
  1. পাসপোর্ট 
  2. ভিসা (যদি দরকার হয়)
  3. রিটার্ন ফ্লাইট টিকেট প্রিন্ট করতে ভুলবেন না। অনেকে অনলাইন কপি মোবাইল স্ক্রিনে শো করে থাকে তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে প্রিন্ট কপি অনেক ক্ষেত্রে দরকার পরে তাই বলছি প্রিন্ট করে নিবেন। 
  4. কোম্পানী ID. ইমিগ্রেশন অফিসার অনেকসময় এটা চায় প্রুফ করার জন্য যে আপনি কোথায় এবং কি কাজ করেনএবং নিশ্চিত হতে চায় যে আপনি অবৈধভাবে কাজ করতে যাচ্ছেন না। 
  5. বিদেশে আপনার ঠিকানা ও ফোন নম্বর। আপনি যদি ভ্রমণ করেন একজন টুরিস্ট হিসেবে তাহলে বিদেশে বুক করা হোটেলের পুরো ঠিকানা এবং ফোন নম্বর জেনে নিবেন। যদি ভ্রমণের উদ্দেশ্য হয় ফ্যামিলি অথবা ফ্রেন্ড ভিসিট তাহলে তাদের ঠিকানা ও ফোন নম্বর ভালো করে জেনে নিবেন আগে থেকেই। এটা আপনার দরকার পর্বে যখন ইমিগ্রেশন ফ্রম পূরণ করবেন। 
  6. হোটেল রেসেরভেশন প্রিন্ট করে নিবেন যদি টুরিস্ট হিসাবে বেড়াতে যান কোথাও। 
  7. ইনভিটেশন লেটার যদি আপনাকে কেও দিয়ে থাকে প্রিন্ট করে নিবেন। 
  8. MONEY সবথেকে মোস্ট ইম্পরট্যান্ট। কত টাকা আপনার সাথে থাকতে হবে তা বিবেচনা করে আপনি কোথায় যাচ্ছেন এবং কত দিন থাকবেন তার উপরে। মালয়েশিয়া ,সিঙ্গাপুর অস্ট্রিলিয়া ১০০০ হাজার ডলার (USD) দেখতে চায় (রিস্কফ্রী যদি থাকে ) ইউরোপ প্ৰত্যেক  দিন ১২০ ইউরো দেখতে চায় যে কয়দিন থাকবেন। কোরিয়া ,জাপান ,তাইওয়ান ফ্রান্স ফিলিপাইন আমার কাছে কখনো কিছু জিজ্ঞেস করে নাই কিন্তু তার পরেও আমি রেডি ছিলাম অনাকাঙ্খিত প্রশ্নের। 
  9. ক্রেডিট কার্ড অনেক এয়ারপোর্ট দেখতে চায় ক্রেডিট কার্ড ও স্টেটমেন্ট যদি আপনি অনলাইন টিকেট ক্রয় করে থাকেন। ক্রেডিট থাকলে ভালো কে জানে ক্যাশ হয়ে গেলে এটাই আপনার শেষ ভরসা বিদেশের মাটিতে। 
  10. ফটো কপি পাসপোর্ট ও ভিসা। এটা থাকা ভালো কে জানে যদি পাসপোর্ট হারিয়ে যায়? বিদেশে বাহিরে বেরহতে গেলে সর্বদা পাসপোর্ট বহন করাটা রীতিমতো অসহ্যাহ্কর কাজেই ফটো কপি থাকলে পাসপোর্ট নিরাপদে হোটেলে রেখেই বেরিয়ে পড়তে পারেন ফটো কপি নিয়ে। 
  11. কলম হা একটা কলম সাথে নিতে ভুলবেন না এটা দরকার পর্বেই। 
  12. ITINERARY দর্শনীয় স্থান গুলোর একটা কপি প্রিন্ট করে নিবেন সময় বাঁচবে। 
কি ধরণের প্রশ্ন ইমিগ্রেশন অফিসার করে থাকে 
আসলে প্রশ্ন গুলো একেক অফিসারের ভিন্ন ভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে।  আপনি যদি ভাগ্যবান হন তাহলে দু একটা প্রশ্ন করে স্ট্যাম্প দিয়ে পাসপোর্টে ছেড়ে দিবে। ইল্লিগাল ইম্মিগ্রাশনের কারণে এমনো হতে পারে আপনাকে অফলোড করে দিতে পারে তার মানে ঢাকা থেকেই ফ্লাইটে উঠতে দিবেনা।  অনেক সময় SPECIAL BRANCH (SB) অফিসার আপনার পাসপোর্ট নিয়ে যেতে পারে। এবং আরো অনেক জটিলতা আছে যা সম্পূর্ণ বলাটা অসম্ভব। 
আপনি কি করতে পারেন যদি উপরে উল্লেখিত কোনো অনাকাঙ্খিত ঝামেলায় পরে যান। 
  1. Passport
  2. Visa (if applicable)
  3. Filled out departure card
  4. Roundtrip ticket
মূলত তারা (ইমিগ্রেশন অফিসার ) নিম্নে উল্লেখিত কিছু বিষয় বিবেচনায় ধরে থাকে 
  1. বয়স 
  2. শিক্ষাগত যোগ্যতা 
  3. আর্থিকভাবে কতটা সচ্ছল ট্রাভেল করার জন্য 
কি অর্থ দাঁড়ায় উপরের বিষয় গুলো? টুরিস্ট কিন্তু দেশেই কোনো ভালো ইনকামের বেবস্থা নেই তার মানে ভ্রমণের উদ্দেশ্য না অন্য কোনো কারণ রয়েছে বাহিরে যাওয়া। 


Comments

Popular posts from this blog

Cambodia Visa Application Guidelines For Bangladeshi

JAPAN TOURIST VISA APPLICATION GUIDE

SOUTH KOREA TOURIST VISA APPLICATION FOR BANGLADESHI